১ বছর কম সময় না, এই ১ বছরে বাংলাদেশকে বদলানো সম্ভব এমন মক্তব্য করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পা্ওয়া মন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার।
অ্যাসোসিয়েশন অব সফট্ওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) মোস্তফা জব্বার মন্ত্রিত্ব পা্ওয়ায় ’আমরা গর্বিত’ শিরোনামে আনুষ্ঠানিক সম্বর্ধনার আয়োজন করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, সরকার আর ক্ষমতায় আছে ১ বছর, এই সময়ের মধ্যে সব কিছু করার সম্ভব না হল্ওে অনেক কিছু না সম্ভব। দেশ ডিজিটাল হতে গেলে সরকারকে ইন্টারনেটের বিষয়ে জোড় দিতে হবে। আর আমি তাই করবো ইন্টারনেটের দাম কমানো এবং তার গতি বাড়াবো।
তিনি বলেন, আমার মন্ত্রনালয়ে কোন বিদেশী প্রতিষ্ঠান এক তরফা কাজ করতে পারবে না। আমি ইংরেজী বিরোধী না, তবে দেশের ৯৬ শতাংশ মানুষ ইংরেজী বুঝে না। তাই স্থানীয় ভাষায় কনন্টেট দরকার।
মন্ত্রী বলেন, আমি রাজনীতি করে মন্ত্রী হয়নি। তাই আমরা পিছনে সোগ্লান দেয়ার মানুষ নাই। তবে আমার রয়েছে সারাদেশে প্রযুক্তিসৈনিক, আমার মত এত সৈনিক আর কোন মন্ত্রীর নাই। টেলিকম সেন্টারে ক্যান্সারের মত সমস্যা, আমরা সে সমস্যা জানিও না এবং সমাধানের উদ্যো্গ্ও নেয় না।
সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দেশের সকল আইসিটি ব্যক্তিত্ব, বেসিসের সকল সভাপতি, সদস্য, এবং কার্য নির্বাহীর সকল সদস্য। এই সময় তিনি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি আপনাদের জব্বার ভাইই থাকতে চাই। আপনারা আমাকে জব্বার ভাই বলেন ডাকবেন। আজ থেকে আপনাদের্ও দায়িত্ব বেড়ে গেল। আমি যদি মন্ত্রিত্বে ফেল করি, এই ফেল করা শুধু আমার একার না। এই ফেল করা আপনাদের সবাই।
মন্ত্রী আর বলেন, আমি সারাজীবন দেশকে ডিজিটাল করার লড়াই করেছি। আজ মন্ত্রী হয়েছি বলে তা ভুলে যাবো না। ১ বছরের মন্ত্রী জন্য ৬৯ বছরের কামানো সম্মান নষ্ট করবো না।
এই সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন. বিভিন্ন প্রযুক্তি সংগঠনের সভাপতি। বাংলাদেশে আইসিটি জানালিষ্ট ফোরাম ( বিআইজেএফ) এর সকল সাংবাদিকরা এই সময় উপস্থিত ছিলেন।
সিনিউজভয়েস//ডেস্ক/
একসাথে ৬ হাজার চাকুরি প্রত্যাশির অংশগ্রহন। সবাই তাকিয়ে দেখছে দেশসেরা করপোরেট ট্রেইনারদের বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা। ট্রেনিং শেষ এবার কি শিখেছেন তা জানাতে তৈরি করতে হবে একটা প্রেজেন্টেশন। আর তাতেই আপনি চাকুরি পাওয়ার প্রথম ধাপটি শেষ করে ফেললেন। প্রশ্ন হতে পারে শুধু কি ৬ হাজারই সুযোগ পাবে। না আপনি চাইলে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে ফেসবুক ফ্যান পেজে () সরাসরি দেখে একই কাজ করতে পারেন।
তাতে আপনিও পাচ্ছেন চাকরি পাওয়ার সমান সুযোগ। ঠিক এমন আয়োজনই করতে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় আইটি প্রতিষ্ঠান কাজী আইটি সেন্টার। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের হলেও বাংলাদেশে নিজেদের কার্যক্রম বাড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) হল অব ফেমে আগামী ১১ নভেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হবে কাজী আইটি ক্যারিয়ার বুটক্যাম্প। এই আয়োজনে সহযোগিতায় রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট এন্ড গর্ভন্যান্স (এলআইসিটি) প্রকল্প।
রেজিস্ট্রেশন লিঙ্ক : https://goo.gl/haex9P
গত ১ নভেম্বর বুধবার কাজী আইটির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় কাজী আইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মাইক কাজী এসব কথা বলেন। তিনি জানান, ঠিক কতো জনবল নেওয়া হবে তার কোন সীমাবদ্ধতা নেই। মোট তিনটি শাখার জন্য এনালিস্ট বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, টিম লিডার, এ্যাসিটেন্ট ম্যানেজার, ম্যানেজার সহ বিভিন্ন পদে জনবল নেয়া হবে। অংশগ্রহনকারিদের মধ্যে যাদেরকে যোগ্য মনে হবে নিয়োগ পাবে সবাই। রাজধানীর নিকুঞ্জে প্রধান অফিস, ধানমন্ডির শাখা অফিস ও রাজশাহী অফিসের জন্য ডে এবং নাইট শিফটে এদেরকে নিয়োগ দেয়া হবে।
মাইক আরো বলেন, কাজী আইটিতে কাজ করতে প্রথমত থাকতে হবে ইংরেজীতে ভালো দক্ষতা। এর বাইরে ভালো প্রেজেন্টেশন স্কিল, নেগোসিয়েশন স্কিল এসব দরকার হয়। এর কারন হলো কাজী আইটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংকের কাজ করে। এর জন্য ইংরেজির কোন বিকল্প নাই।
দিনব্যাপী এই আয়োজনে অংশগ্রহনের জন্য এরই মধ্যে প্রচুর চাকুরিপ্রার্থী রেজিষ্ট্রেশন শেষ করেছে বলে জানালেন মাইক কাজী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এত বিশাল জনশক্তিকে কাজে লাগাতে দেশে আমাদের কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। অংশগ্রহনকারিদের মাইক কাজী পরামর্শ দিলেন পুরো ট্রেনিং মনোযোগ দিয়ে দেখতে এবং নোট তৈরি করতে। যা পরবর্তীতে তাদের প্রেজেন্টেশন তৈরিতে সহায়ক হবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি কাঙ্খিত জনবল পাবো। বুট ক্যাম্পের দিনই আমরা কয়েকজনকে নিয়োগ দিবো। বাকিরা আমাদের স্বাভাবিক নিয়মে আসবে। সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কাজী আইটির চিফ অপারেটিং অফিসার জন রিডেল, মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান সাদিকুর রহমান ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ জয়ন্ত পাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কাজী আইটি ক্যারিয়ার বুটক্যাম্প আয়োজনে যারা অংশগ্রহন করতে ইচ্ছুক তারা https://goo.gl/haex9P এই লিংকে গিয়ে এখনই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোন ফি লাগবে না। রেজিস্ট্রেশন করা যাবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর কাজী আইটির এইচ আর টিম ইনভাইটেশন লেটার পাঠাবে।
ইনভাইটেশন লেটারের প্রিন্ট কপি ও এসএমএসের মাধ্যমে কনফার্ম হয়ে অংশগ্রহন করার অনুরোধ জানিয়েছে কাজী আইটি কর্তৃপক্ষ। কাজী আইটি ক্যারিয়ার বুট ক্যাম্পে ফিউচার লিডারের লিড কনসালটেন্ট ও সিইও কাজী এম আহমেদ, মোটিভেশনাল স্পিকার জি. সামদানি ডন, রবি-টেনমিনিট স্কুলের উদ্যোক্তা আয়মান সাদিক, হিউম্যান ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট ও হসপিটালিটি ম্যনেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ জিশু তরফদার, বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন ফর লার্নিং এন্ড ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা রুশদিনা খানসহ অরো অনেকে রিসোর্স পার্সন হিসাবে থাকবেন।
-গোলাম দাস্তগীর
মাইক কাজী। প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কাজী আইটি সেন্টার লিমিটেড। ১৯৮৭ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াবস্থায় পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। কয়েক বছর সেখানে অবস্থানের পর পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে ফিরে আসেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যান মাইক কাজী।
যুক্তরাষ্ট্রে এমবিএম (মাস্টার্স অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট) সম্পন্নের পাশাপাশি জড়িয়ে পড়েন ব্যবসায়। নিজ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে গিয়ে আইটি ব্যবসার প্রতি ঝুঁকে পড়েন তিনি। সেই থেকে শুরু। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রতিষ্ঠানে ৭০০ মার্কিন নাগরিক কাজ করছেন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয় বাংলাদেশে মেধাবী তরুণদের জন্য ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন কাজী আইটি সেন্টার লিমিটেড।
এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার তরুণ-তরুণীকে চাকরি দিয়ে স্বাবলম্বী করেছেন মাইক কাজী। রয়েছে নানা চিন্তা-ভাবনাও। সম্প্রতি জাগো নিউজ’র কাছে বাংলাদেশের তরুণদের নিয়ে স্বপ্ন ও নানা পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মামুন আব্দুল্লাহ।
জাগো নিউজ : আইটি ব্যবসায় বাংলাদেশের সম্ভাবনা সম্পর্কে বলুন…
মাইক কাজী : বাংলাদেশ খুবই সম্ভাবনাময় অর্থনীতির একটি দেশ। এ দেশের মোট জনসংখ্যার বড় একটি অংশ যুবক। যারা অত্যন্ত মেধাবী ও বুদ্ধিমান। তাদের পক্ষে দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। শুধু প্রয়োজন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা। সেটি করতে পারে তথ্যপ্রযুক্তি খাত, যুবকদের স্বপ্ন পূরণের সিঁড়ি। বুদ্ধিদীপ্ত তরুণদের পাশে দাঁড়াতেই বাংলাদেশে ব্যবসা আরো প্রসারের চিন্তা।
জাগো নিউজ : দেশের আইটি খাত নিয়ে আপনার কী পরিকল্পনা?
মাইক কাজী : আমরা কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই কর্মী নিয়োগ দিচ্ছি। তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তৈরির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যত ভালো কর্মী পাবো ততই আমরা ব্যবসার প্রসার ঘটাবো। প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কোম্পানি দাঁড় করাবো।
আগামী ২০ বছরে এক লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
জাগো নিউজ : বাংলাদেশে আপনাদের কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু বলুন।
মাইক কাজী : অনেক ভালো প্রত্যয় নিয়ে ২০১০ সালে বাংলাদেশে আমাদের যাত্রা। কাজী আইটির শুরু যুক্তরাষ্ট্রে হলেও বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের চিন্তাটা বেশ বড়। এখানে আমাদের তিনটি কার্যালয় (অফিস) রয়েছে। নিকুঞ্জ ১২ নম্বর রোডের প্রধান কার্যালয়ের পাশাপাশি রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি এবং ঢাকার বাইরে রাজশাহীতে আরো একটি অফিস রয়েছে। আমরাই প্রথম ঢাকার বাইরে কোনো বিভাগীয় শহরে বড় পরিসরে কাজ শুরু করেছি।
আমরা নতুনত্বে বিশ্বাসী, তাই অভিনব উপায়ে নিয়োগ দিতেও কার্পণ্য করি না। নিজেকে যোগ্য প্রমাণিত করতে পারলে কোনো রেফারেন্সের প্রয়োজন নেই। শুধু ইচ্ছাটা পোষণ করলেই তাকে আমরা নিয়োগ দিচ্ছি।
জাগো নিউজ : কোন ধরনের প্রার্থীকে আপনারা প্রধান্য দিচ্ছেন?
মাইক কাজী : বিদেশি ক্লায়েন্টদের সঙ্গে আমাদের কাজ। সে জন্য আমরা ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। যারা ভালো ইংরেজি বলতে, লিখতে ও পড়তে পারেন তাদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। তিনি কোন বিভাগে পড়াশোনা করেছেন, রেজাল্ট কেমন- এসব বিষয় মুখ্য নয়।
জাগো নিউজ : কাজী আইটির কর্মীদের বেতন কাঠামো সম্পর্কে কিছু বলুন…
মাইক কাজী : নতুন অবস্থায় আমাদের বেতন স্কেল হলো ৩৫ হাজার টাকা। সঙ্গে থাকছে সেলস কমিশন ও বাড়তি আয়ের নানা সুযোগ। সবমিলে অনেকে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা উপার্জন করছেন।
বাংলাদেশিরা অনেক মেধাবী। তবে তারা ইংরেজিতে দুর্বল। ইংরেজিতে পরীক্ষা নিলে তারা একটু খারাপ করে। ৩০ শতাংশ পাস করে। যদি বাংলায় প্রশ্ন করা হয় তাহলে ৯০ শতাংশ পাস করে। অর্থাৎ ইংরেজি প্রশ্ন বুঝতে তাদের সমস্যা হয়। তবে শুধু ইংরেজি জানা ছেলে-মেয়েকে শুধু নেই, সেটা নয়। যোগ্যতাসম্পন্নদের আমরা বেশি গুরুত্ব দেই। তবে যোগ্যতা আছে এমন অনেকেই এ সেক্টরে আসতে চান না।
জাগো নিউজ : নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছু বলুন…
মাইক কাজী : এখানে নিয়োগের বিষয়টা একটু ব্যতিক্রম। আগে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে আসলে তাকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হতো। ম্যানেজমেন্ট দেখতো তার ধৈর্য কেমন। কিন্তু আমাদের এখানে সিস্টেমটা একটু ভিন্ন, আমরাই আবেদনকারীর কাছে যাই। কীভাবে, এমন প্রশ্ন মনে আসতে পারে।
কাজী আইটির পক্ষ থেকে আমি নিজে আবেদনকারীকে ফোন করি। প্রার্থীকে ফোনে কিছু প্রশ্ন করা হয়। আবার ফেসবুক লাইভেও ইন্টারভিউ নেয়া হয়। এরপর সর্টলিস্ট তৈরি করে অফিসে কল করা হয়। অফিসে আসা প্রার্থীকে ১০ মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হয় না।
জাগো নিউজ : ফেসবুক লাইভে সাক্ষাৎকারের বিষয়টি যদি বলতেন…
মাইক কাজী : কাজী আইটির সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো ফেসবুক লাইভে সরাসরি ইন্টারভিউ নেয়া। কাজী আইটির প্রধান নির্বাহী হিসেবে আমি প্রতি শনিবার সকাল ১১টায় ফেসবুক লাইভে এসে আগ্রহীদের নানা প্রশ্নের জবাব দেই। সেখান থেকে প্রাথমিক সিলেকশন সম্পন্ন করি। এরপর আমাদের এইচআর টিম তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরির পরের ধাপগুলো সম্পন্ন করেন।
আপনাদের মাধ্যমে (জাগো নিউজ) চাকরিপ্রার্থীদের জানাতে চাই, তারা চাইলে সরাসরি আমাদের নিকুঞ্জ অফিসে এসে সিভি জমা দিতে পারেন। অথবা গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
যারা সরাসরি ইন্টারভিউ দিতে চান তারা প্রতি শনিবার সকাল ১১টায় কাজী আইটির ফেসবুক পেজে লাইভে আমার সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন।
জাগো নিউজ : এ সেক্টরে কীভাবে আপনারা দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছেন?
মাইক কাজী : আমরা বনানীতে অফিস নিচ্ছি আইটি ট্রেনিংসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের জন্য। আমাদের যে টার্গেট তাতে প্রচুর দক্ষ জনবল প্রয়োজন। শিগগিরই আমাদের ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে।
জাগো নিউজ : ট্রেনিংয়ের ধরন ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু বলুন…
মাইক কাজী : কাজী আইটিতে যারা প্রবেশ করেন তাদের পড়াশোনা করতে হয়। ১২ মাস তাদের বিভিন্ন বই সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি হাতে-কলমে শিক্ষা দেয়া হয়। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়কদের কাছে সেগুলো উপস্থাপনা করা হয়। অর্থাৎ আপনি কী শিখছেন, কতটুকু নিতে পারলেন, সেগুলো যথাযথভাবে মনিটরিং করা হয়।
কাজী আইটি হলো শেখার জন্য। এখানে সবাইকে ফ্রি ট্রেনিং করানো হয়। আমাদের রিকোয়ারমেন্ট ফুলফিল করতে পারলে গ্রাজুয়েশনের প্রয়োজন নেই, এমনি-ই তাকে নিয়োগ দেই।
জাগো নিউজ : আপনাদের কাজের ধরন সম্পর্কে যদি বলতেন…
মাইক কাজী : আমরা ডে ও নাইট, দুই শিফটে লোক নিয়োগ দেই। আমাদের এখানে কাজ করতে হলে কাউকে জাভা প্রোগ্রাম বা অন্য কোনো প্রোগ্রাম জানতে হবে সেটা কিন্তু নয়। আমরা ইউএসের বিভিন্ন ব্যাংকের কাজ বাংলাদেশে বসে করে দেই।
ব্যাংকে বিভিন্ন আইটি সাপোর্টের প্রয়োজন হয়, মর্টগেজের কাজ, বাড়িঘরের লোন সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ আমরা বাংলাদেশে বসে মেইনটেন্যান্স করি। অনলাইনে কাজগুলো করা হয়।
আমাদের প্রতিষ্ঠান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। সেখানকার ব্যাংকের কাছে মর্টগেজ রাখা বাড়িগুলো মেইনটেন্যান্সের জন্য আমাদের লোক নিয়োগ দেয়া আছে। বাংলাদেশে বসে তাদের কাজগুলো মনিটরিং করা হয়। কখনো স্কাইপে, কখনো ফোনে অথবা অনলাইন বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়।
আমরা ব্যাংক, বীমা, লিগ্যাল সার্ভিসসহ বিভিন্ন সেক্টর নিয়ে কাজ করি। কনসালটিং, টেকনোলজি, আউটসোর্সিংসহ পরবর্তী প্রজন্মের বিভিন্ন সেবা আমাদের প্রতিষ্ঠান দিয়ে থাকে।
জাগো নিউজ : কাজী আইটির কাজের চাহিদা কেমন?
মাইক কাজী : যত কাজ আসে তার ১৫ শতাংশও আমরা শেষ করতে পারি না। আমাদের ৬০-৭০ শতাংশ কাজ বাকি আছে মার্কেট ম্যাচিউরিটির জন্য।
জাগো নিউজ : আইটি খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন?
মাইক কাজী : বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রফতানি আয় আসে পোশাক খাত থেকে। গত অর্থবছরে যা ছিল প্রায় ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পোশাক খাত থেকে বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় পাঁচগুণ বেশি আয় করে চীন। তবে চীন এ খাত থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে। তারা পোশাকের চেয়ে বহুগুণ বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে মেশিনারিজ উৎপাদন ও আইটি খাতকে।
শুধু চীন নয়, সারাবিশ্ব বর্তমানে আইটি খাতকে ধরা হচ্ছে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসেবে। সে ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ সরকারও পিছিয়ে নেই। ২০২১ সালকে সামনে রেখে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে, এটি অত্যন্ত ইতিবাচক। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আরো অনেক বেশি রফতানি আয় সম্ভব যদি সঠিক পথে চলা যায়।
জাগো নিউজ : এ খাতে সরকারের সহযোগিতা কি পর্যাপ্ত?
মাইক কাজী : বিশ্বখ্যাত গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বোস্টন কনসালটিং গ্রুপ (বিসিজি) এরই মধ্যে আমাদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। এক্ষেত্রে সরকার আমাদের সহযোগিতা করছে। আমি মনে করি, এটা সরকারের খুবই ভালো উদ্যোগ। দেশের আইটি সেক্টর তাদের কাছ থেকে বহু কিছু পেতে পারে। তবে তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ পেতে আমাদেরও চেষ্টা থাকতে হবে।
জাগো নিউজ : তরুণদের উদ্দেশ্যে আপনার পরামর্শ কী হবে?
মাইক কাজী : তরুণরা আমাদের দেশের সম্পদ। আমরা তাদের খুঁজছি। যারা গ্রাজুয়েশন শেষ করেছে, তাদের বিষয়টি আমরা সবসময়ই প্রাধান্য দেই। আমাদের এইচআর টিম সবসময় বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করে। আমরা শত শত চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ দিতে পারতাম যদি তাদের ইংরেজির ওপর পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকতো।
See More at: https://www.jagonews24.com/m/special-reports/article/407916
ফিরোজ মান্না ॥ তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের উন্নয়নে কাজী আইটি সেন্টার লিমিটেড ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এক যোগে কাজ শুরু করছে। সম্প্রতি কাজী আইটির সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের মধ্যে এমন একটি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দেশে দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি তৈরি করতে কাজী আইটি বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ দেবে। আমেরিকা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি দেশে ২০০৯ সাল থেকে কাজ শুরু করেছে। আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশে এটিই অন্যতম। প্রতিষ্ঠানটি গত বছর ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে। এ বছর তারা একশ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করার টার্গেট নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে দেশের এক হাজারের বেশি তরুণ-তরুণী উচ্চ বেতনে কাজ করছেন।
২০২১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ঘোষিত টার্গেটের ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের টার্গেট পূরণে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের নেয়া টার্গেটের চেয়ে আরও অনেক বেশি আয় করা সম্ভব বলে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলেছেন। তবে এজন্য প্রয়োজন হবে দক্ষতা বৃদ্ধি। দক্ষ জনবল সৃষ্টি হলে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে।
কাজী আইটি সেন্টার লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মাইক কাজীর সঙ্গে সম্প্রতি দীর্ঘ আলোচনায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। দেশে তরুণ-তরুণীরা মেধাবী। তারা আইটিতে দক্ষতা অর্জন করছে এটা ঠিক। কিন্তু একটি জায়গায় সবচেয়ে বড় সমস্যা রয়েছে। তা হচ্ছে ভাষা। ইংরেজী ভাষাটা ভালভাবে জানলেই বাংলাদেশ এত দিনে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারত। আইটি জানা বহু তরুণ তরুণী পাওয়া গেলেও তারা আমেরিকানদের সঙ্গে ঠিকভাবে যোগাযোগ করতে পারে না। যারা পারছেন, তারা কিন্তু খুব ভাল করছেন। শুরুতেই তাদের বেতন ধরা হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তথ্যপ্রযুক্তিবিদ তৈরি করতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। কিন্তু সেখান থেকে আশানুরূপ তথ্যপ্রযুক্তি বের হচ্ছে না। কাজী আইটিতে এখন পর্যন্ত ওখান থেকে কাউকে পায়নি। মাইক কাজী বলেন, আইটি শেখানোর আগে ভাষার ওপর গুরুত্ব দেয়া হলে সেক্টরটি এত দিনে অন্য উচ্চতায় চলে যেত। বিষয়টি নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছি। বিষয়টি নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ভাববে বলে জানিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এ বছর এক হাজার তরুণ-তরুণীকে চাকরি দেয়ার জন্য আমি বসে আছি। আমি লোক পাচ্ছি না। বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানে এক হাজার তরুণ-তরুণী কাজ করছেন। আগামী ২০ বছরে এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান করার পরিকল্পনা রয়েছে। দক্ষ জনবল না পেলে এই পরিকল্পনা বাদ দিতে হতে পারে। তবে আমার ইচ্ছে আছে, একটি ইংরেজী ভাষা ও তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। এজন্য বনানীতে ১০ হাজার স্কয়ার ফুটের একটি ভবন ভাড়া নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এটা একটা বড় আকারের প্রতিষ্ঠান হিসাবে চলবে বলে আশা করছি।
মাইক কাজী বলেন, আইটি সেক্টরের ওপরে সরকার যে গুরুত্ব দিয়েছে তা অন্য কোন দেশের সরকার এমন গুরুত্ব দেয় না। সরকারের তরফ থেকে এ রকম সুযোগ তরুণদের লুফে নেয়া উচিত। এমন দিন আসবে আইটি সেক্টর হবে বিশ্বের এক নম্বর সেক্টর। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকার নাগরিক হয়েও নিজের দেশকে সেই উচ্চতা নিয়ে যেতে আউটসোর্সিংসহ তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরের বিভিন্ন বিষয়ে তার প্রতিষ্ঠান ২০০৯ সাল থেকেই সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কাজী আইটি একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমরা সবাইকে সমান সুযোগ করে দিতে চাই। আগামীতে দেশে কেমন আইটি ফার্ম গড়ে উঠবে তা কাজী আইটি দেখলেই আঁচ করা যায়। কারণ তারা গতানুগতিক কোন ধারা অনুসরণ করছে না। তারা কাজ দিয়েই সরকারের ২০২১ সালের মধ্যে যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আইসিটিতে রফতানি আয় করার টার্গেট নেয়া হয়েছে তা পূরণ হবেই।
– See more at: http://www.dailyjanakantha.com/details/article/323882/%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7-
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
« Aug | ||||||
1 | 2 | 3 | 4 | |||
5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 |
12 | 13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 |
19 | 20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 |
26 | 27 | 28 | 29 | 30 |
© 2018 KAZI IT.